Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শুক্রবার । ৮ই আগস্ট, ২০২৫ । ২৪শে শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
চৈত্র-বৈশাখে বুনে আষাঢ়-শ্রাবণে কাটে

রূপসায় আউশ ধান কর্তন শুরু; এক ক্ষেতে ৪ ফসল

রূপসা প্রতিনিধি

আউশ ধান কর্তন শুরু রূপসা উপজেলার বিলগুলোতে। সোনালী ফসলে বিল ঝিকিমিকি করছে। রোদ-বৃষ্টি যেন কৃষকের নিত্যদিনের সাথী মনে করে শরীরের রোগ বালাই উপেক্ষা করে, এক ক্ষেতে ৪ ফসল ফলিয়ে ব্যাপক লাভবান তারা। চাষীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আজ দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণ এবং বিদেশে রপ্তানি করে স্বাবলম্বী হবে দেশ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রূপসায় মোট ৩৫ হেক্টর/(২৬২.৫ বিঘা) জমিতে আউশ আবাদ হয়েছে। আবাদকৃত জাতের মধ্যে ব্রি ধান ৪৮, ব্রি ৯৮, ব্রি ধান ১০৬, বিনা ধান ১৯ ও বিনা ধান ২১ ইত্যাদি। অধিকাংশ জাতের জীবনকাল ১১০ দিন থেকে ১১৫ দিন এর মধ্যে কৃষক ফসল ঘরে তুলে নিচ্ছে। স্বল্প জীবনকাল হওয়ায় এক জমিতে বছরে ৩ বার ধান এবং সরিষা ফলিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। রূপসা উপজেলায় আউশী বিল হচ্ছে- নৈহাটী ইউনিয়নের সামন্তসেনা বিল, টিএসবি ইউনিয়নের স্বল্প বাহিরদিয়া বিল, শ্রীফলতলা ইউনিয়নের শ্রীফলতলা বিল ও আইচগাতী ইউনিয়নের আইচগাতী বিলের চাষিরা ভালো ফলনে স্বস্তির আভাস।

জানা যায়, আউশ শব্দের অর্থ আগাম। ৮০ থেকে ১২০ দিনের ভেতর ধান পেকে যায় বলে আউশ নামে ডাকা হয়। চৈত্র-বৈশাখে বুনে আষাঢ়-শ্রাবণে কাটে।

চাষী-কৃষি অফিসের যথাযথ পরামর্শ মেনে চাষাবাদে করেছিল বলে সবার আগে সামন্তসেনা গ্রামের রেজাউল করিম ব্রি ধান ৯৮ নমুনা শস্য আউশ ধান কর্তন শুরু করেছেন। তিনি একই জমিতে রবি মৌসুমে বোরো ধানের আবাদ করার পর খরিপ-১ মৌসুমে ব্রি ধান- ৯৮ জাত চাষ করেছেন। আউশের স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন হওয়ায় আগাম ধান ঘরে তুলতে পারছেন। আউশ ধান কাটার পর জমিতে আবার আমন ধান চাষ করবেন বলে জানান। এভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী আবাদ করলে এক জমিতে ৩/৪টি ফসল ঘরে তোলা সম্ভব।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তরুন কুমার বালা জানান, রূপসায় ২৬২.৫ বিঘা জমিতে আউশ আবাদ করেছে ২৫০ জন চাষী। তাদের থেকে ১৪০ মে.টন আউশ ধান উৎপাদন হবে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে চাষি রেজাউল করিমে ব্রি ধান ৯৮ এর কর্তন শুরু হয়েছে। তার নমুনা শস্য কর্তনে বিঘা প্রতি ১৩ মন ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চাষীরা গত বছর তুলনায় এ বছর ৩ হেক্টর বেশি জমি, মোট ৩৫ হেক্টর জমিতে আউশের আবাদ হয়েছে। তাদের আমন ধানের পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য হারে সরিষার আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধানের ফলন বেশি ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষক লাভবান দেখে অন্য কৃষক আউশ ধান চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়বে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন